একজন মানুষ যদি মানুষ হিসেবে বেঁচে থাকতে চায় তাহলে তার প্রয়োজন শান্তিতে বসবাস করার পর্যাপ্ত স্বাধীনতা ও নিরাপত্তা। এজন্য তার আচার-আচরণ, চলাফেরা অন্যের দ্বারা নিয়ন্ত্রিত হতে পারেনা। তাই খাদ্যের অধিকার, আশ্রয়ের অধিকার, আইনের আশ্রয় লাভের অধিকার, মতামত প্রকাশের অধিকার, স্বাধীনভাবে সমাবেশ করার অধিকার মানবাধিকার বলে স্বীকৃত। সহিংস কর্মকান্ড মানব জাতিকে শান্তি দিতে পারেনা। সন্ত্রাস ও নৈরাজ্যের কারণে দেশের মানুষ চরম ভোগান্তির শিকার হন। এ থেকে উত্তরণে সকল শ্রেণী পেশার মানুষকে ঐক্যবদ্ধ প্রয়াস চালাতে হবে। সমাজে আইনের শাসন ও ন্যায় বিচার প্রতিষ্ঠার স্বার্থে মানবাধিকার কর্মীদের সক্রিয় ভূমিকা পালন করতে হবে। তৃণমূল পর্যায়ে মানবাধিকার সংরক্ষণে জনসচেতনতা বাড়ানো গেলে সাধারণ মানুষের অধিকার রক্ষায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে। গতকাল রোববার (২৫ ডিসেম্বর) বাংলাদেশ মানবাধিকার কমিশন রাঙ্গুনিয়া শাখার উদ্যোগে আয়োজিত আলোচনা সভায় বক্তারা একথা বলেন। উপজেলা মানবাধিকার কমিশনের সভাপতি অধ্যক্ষ কে এম মুছার সভাপতিত্বে ও ডা. আবুল ফজলের স ালনায় অনুষ্ঠিত আলোচনা সভায় উদ্বোধনী বক্তব্য রাখেন চট্টগ্রাম জুনিয়র চেম্বারের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি ও উত্তর জেলা মানবাধিকার কমিশনের সভাপতি শিল্পপতি নিয়াজ মোর্শেদ এলিট। বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ মানবাধিকার কমিশনের বিভাগীয় সমন্বয়কারী লায়ন সিতারা গাফ্ফার, চট্টগ্রাম বার এসোসিয়েশনের সভাপতি এডভোকেট কফিল উদ্দিন, সংগঠনের মহানগর কমিটির সভাপতি সৈয়দ সিরাজুল ইসলাম কমু, উত্তর জেলার সাধারন সম্পাদক মো. আবুল বাশার, রাঙ্গুনিয়া প্রেস ক্লাবের সাধারন সম্পাদক জিগারুল ইসলাম জিগার, উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান মো. আকতার হোসেন, এড্ভোকেট রেহেনা আখতার বেগম, উপজেলা মানবাধিকার কমিশনের সাধারণ সম্পাদক মাষ্টার ইস্কান্দর মিয়া তালুকদার, মানবাধিকার নেতা এডভোকেট সেকান্দর চৌধুরী, ওসমান গণি চৌধুরী, এডভোকেট নুরুল আলম, মাষ্টার নির্মল কান্তি দাশ, মো. ইদ্রিস, মোহাম্মদ আলী, নুর মোহাম্মদ আজাদ, মো. ফারুক উদ্দীন, মো. ইসহাক রেজা, জাহাঙ্গীর আলম রাজু প্রমুখ। আলোচনা সভাশেষে মনোজ্ঞ সাংষ্কৃতিক অনুষ্ঠান পরিবেশিত হয়।